শংকায় পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

EUব্রিটেনের গণভোটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পক্ষে রায় ইইউ-র নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের জন্যও এক বড় আঘাত। এর পরে শুধু ব্রিটেনের কি হবে তাই নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভবিষ্যতের ওপরও এর কি প্রভাব পড়বে – তা নিয়েও দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা।
ইউরোপের ঐক্যের ধারণার যারা সমর্থক – তাদের জন্য এই ব্রেক্সিট হচ্ছে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত, এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে – এটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
ইউরোপের অন্যান্য সদস্য দেশ ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড এবং ডেনমার্ক-এর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক নেতারা – যারা অভিবাসন এবং আরো নানা কারণে ইইউ-র বিরোধী – তারা এখন বলছেন, যে তারাও ব্রিটেনের মতো ইইউ ত্যাগ করার প্রশ্নে গণভোট চান।
ফ্রান্সের উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা মেরিন লা পেন বলছেন, ফ্রান্সে এবং ইউরোপের অন্যত্র এখন গণভোট করার সময় হয়েছে।
উদ্বেগ রয়েছে ইতালি, গ্রীসের মতো দেশগুলোকে নিয়েও ।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা ব্রিটেনের ভোটারদের এই সিদ্ধান্তে গভীর দু:খ প্রকাশ করেছেন। ব্রাসেলসে এক জরুরী আলোচনা করেছেন ইউরোপের কাউন্সিল, ইউনিয়ন ও পার্লামেন্ট নেতারা ।
এর পর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জঁ ক্লদ ইউংকার বলেছেন, তিনি আশা করেন যে ব্রিটেন ইইউর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে থাকবে । তবে ব্রিটেন যেন ইইউ ছেড়ে যাবার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করে, কারণ এতে যত দেরি করা হবে – অনিশ্চয়তা ততই বাড়বে।
জার্মান চ্যান্সলর এঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, ইইউ-র এ সমস্যা সমাধান করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।
তবে লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী ব্রিটেনের ইইউ ছেড়ে যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়তো দু বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button