১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের

তেল রফতানির আয় কমে যাওয়ায় সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার চুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারী দেশটি আট বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বাড়তে থাকা চাহিদার কারণে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণের পরিমাণ বাড়াতে বাধ্য হয়।
১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের সময় ঋণ নেয়ার ২৫ বছর পর তেল রফতানির আয় কমে যাওয়ায় ফের ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে সৌদি আরব।   গেল বছর দেশটির তেল রফতানি আয় ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।  চলতি মাসের শেষের দিকে ঋণ চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঋণ গ্রহণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলোর উপর সৌদি আরবের নির্ভরতা হ্রাস পাবে।
বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারী দেশগুলোর সঙ্গে তেল উত্তোলন কমানোর এক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিদেশি ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।  ২০১৪ সালের জুন থেকে বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পায়। অপরিশোধিত তেলের দর পতনের পর গেল বছর সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি ৯৮ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে। পরিস্থিতি সামলাতে সরকারি ব্যয় হ্রাস করে কর ও বিদ্যুৎ, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে দেশটির সরকার। তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর অনেকেই বিদেশি ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমদিকে কাতার পাঁচ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নেয়। ওমান নেয় এক বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button