ব্রিটেনে মানব ভ্রুণের জীনগত পরিবর্তনের অনুমতি

অনেক বিতর্কের পর মানব ভ্রুণের জীনগত পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভ্রুণের জীন কাঠামো ওলট পালট করে গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ বোঝা সম্ভব। এছাড়া, কোনো কোনো শিশু কেন জটিল রোগ নিয়ে জন্মায় সেটা বুঝতেও এই গবেষণা অত্যন্ত জরুরী।
ভ্রূনের জীন পরিবর্তণ নিয়ে সারা বিশ্বে এখনও তীব্র নৈতিক বিতর্ক রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা- এর ফলে ভ্রূণের ডিএনএ পরিবর্তন করে ডিজাইনার শিশু জন্ম দেয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
তবে জীনের কাঠামো বদল করে কোন ভ্রূণ কোনো মহিলার জরায়ুতে প্রবেশ এখনো ব্রিটেনে বেআইনি থাকবে। গতবছর প্রথমবারের মত চীনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেন তারা মানব ভ্রূণের একটি জীন বদল করে জন্মগত রক্তের সমস্যা দূর করেছেন।
ড ক্যাথি নিয়াকান নামে যে বিজ্ঞানী ভ্রূণের জীন কাঠামো নিয়ে গবেষণার অনুমতির আবেদন করেন, তিনি বলেন, “একটি সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য ভ্রূণের ভেতর কোন্ কোন্ জীন প্রয়োজন তা বোঝা অত্যন্ত জরুরী।” তিনি বলেন, কেন নারী বন্ধ্যা হয়, কেন তার বারবার গর্ভপাত হয়, সে সম্পর্কেও বিজ্ঞানীদের এখনও স্পষ্ট ধারনা নেই।
সরকারের এই অনুমোদনের পর এখন কয়েক মাসের মধ্যে ভ্রূণ নিয়ে ব্রিটেনে নিরীক্ষা শুরু হবে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড সারাহ চ্যান বলছেন, ভ্রূণের জীন পরিবর্তনের সাথে অত্যন্ত স্পর্শকাতর নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। তিনি চান, নিরীক্ষা শুরুর আগে এই দিকটি যেন বিবেচনা করা হয়। -বিবিসি

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button