নির্বাচিত হলে সিরীয় শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর হুমকি

Trampযুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার জানিয়েছেন, তিনি নবেম্বরে নির্বাচিত হলে হাজার হাজার সিরিয়ার শরণার্থীকে তাদের নিজের দেশে পাঠিয়ে দিবেন। আগামী বছর নবেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক সমাবেশে সিরীয় শরণার্থীদের প্রসঙ্গে এই ধনকুবের বলেন, “আমি জিতলে তারা ফিরে যাবে। অথচ কিছুদিন আগেই ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আরও শরণার্থী নেয়া। ইউরোপে চলমান শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছর ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে গ্রহণ করবে বলে জানায়।
ট্রাম্প যে সময় ওই বক্তব্য দিয়েছেন সেই একই দিনে সিরিয়ার মধ্য এবং উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই হামলার মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরে দীর্ঘদিন পরে তাদের প্রথম সামরিক অভিযান শুরু করলো। এর আগে ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চালানো হয়েছিল।
‘যদি আমি বিজয়ী হই আমি এখনই এটা বলতে চাই এবং আমি আপনাদেরকে এটা বলব, ওই ২ লাখ মানুষ তাদেরকে এটা জানতে হবে এবং পৃথিবী এটা শুনবে…… তাদেরকে ফিরে যেতে হবে।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমি ওই ২ লাখ মানুষকে গ্রহণ করব না কেননা হতেও পারে এদের মধ্যেই কেউ আইএসআইএসের সদস্য। আমাদের কোনো ধারণা নেই তারা কারা। তবে তারা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুর্বলতার কারণেই আসতে পেরেছে। কিন্তু যদি আমি হোয়াইট হাউসে থাকি তবে তাদেরকে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
বাসার আল আসাদকে সমর্থনের জন্য রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেননা ওয়াশিংটন এবং এর মিত্রবাহিনী মনে করে সিরিয়ায় সংঘাতের জন্য আসাদই দায়ী। তার জন্যই দেশটিতে চার বছর ধরে ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর এ কারনেই দেশটির শরণার্থীরা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। ক্রমাগত শরণার্থীদের প্রবাহ বেড়ে চলেছে। তবে রাশিয়ার মতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আসাদকে সহায়তা করা। পেন্টাগন জানিয়েছে, রাশিয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের লক্ষ্যে এ সপ্তাহে সিরিয়ায় সৈন্য, যুদ্ধবিমান এবং সামরিক জিনিসপত্র পাঠিয়েছে রাশিয়া।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button