এশিয়া হবে আগামী যুদ্ধের রণক্ষেত্র ?

SaudiRussiaমুহাম্মদ সায়ীদ: বিশেষজ্ঞদের সকল হিসাব কিতাব ও অংককে ভন্ডুল করে দিয়ে সম্প্রতি সৌদি আরব ও রাশিয়া পরমাণু সহযোগিতা বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পরমাণু করপোরেশ-রোসাতমের প্রধান সের্গেই কিরিয়েস্কো এবং সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ সিটির পরমাণু বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা হাশিম আব্দুল্লাহ ইয়ামানি এই অপ্রত্যাশিত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সম্পর্কে রোসাতম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ চুক্তির মাধ্যমে ইতিহাসে প্রথমবারের মত পরমাণু ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে আইন সম্মত সহযোগিতার একক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেন্টপিটার্সবার্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তাকে বাদশা সালমানের পক্ষ থেকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান। এ সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনও বাদশা আব্দুল্লাহকে রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ইয়েমেনে যখন রক্ত ঝরছে, একদিকে ইরান রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে যখন বিমান হামলা চলছে, তখন সেন্টপিটার্সবার্গে সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি ইতিহাসের এক নতুন মোড়ের সূচনা করছে। এক ধরনের বৈরী সম্পর্কের অবসান করে এক নতুন যুগের সূচনা করলো এই দ্ইু দেশ। এদিকে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময় হয়েছে এবং পাকিস্তান রাশিয়া থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্রয় করতে শুরু করেছে। যদিও রাশয়ার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা বিগত কয়েক বৎসর ধরেই চলছে, রাশিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের এই নতুন সম্পর্ক একেবারেই আকস্মিক ও বিস্ময়কর।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি ও ইরানের সাথে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বিষয়ক সমঝোতার পর পরই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌদি আরব রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর এক ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের খোশমেজাজের সম্পর্ক অনেক দিনের। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বহু দিন ধরে কাজ করছিল। নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের পর দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে দৌড়ঝাঁপ আরও গতি লাভ করে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার মেয়াদে দুই বার ভারত সফর করলেন। গত জানুয়ারিতে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রধান অতিথি ছিলেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মোড় নেয়। কয়েক সপ্তাহ আগে দুই দেশের মধ্যে একেবারে প্রতিরক্ষাচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে আন্তর্জাতিক বিশেষ করে এশিয়ার রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। সৌদি-রুশ পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি তারই ফসল।
ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি চীনকে টার্গেট করেই করা হয়েছে। চীন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কমন টার্গেট। প্রতিরক্ষা চুক্তির মধ্য দিয়ে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এ দিকে এই চুক্তির ফলে এশিয়ার দেশে দেশে নড়েচড়ে বসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সৌদি-রুশ চুক্তি তারই ইঙ্গিত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যুদ্ধ এবার এশিয়াতেই সংঘটিত হবে। মধ্য প্রাচ্যের রক্তক্ষরণ এখন এশিয়ায় স্থানান্তরিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধ ক্ষেত্র হবে এবার এশিয়ায়। যুদ্ধ হবে ভারত আর চীনের মধ্যে! ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষাচুক্তি তারই ইঙ্গিত! এই চুক্তিকে কেন্দ্র কইে মার্কিন বন্ধুরা রাশিয়া এবং চীনের দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশকে চায় ভারত। চীনও চায় বাংলাদেশকে। ফলে বাংলাদেশই হতে পারে একটি সংঘাতের ক্ষেত্র।
দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শক্তি হওয়ার ভারতীয় উদগ্র আকাক্সক্ষা ও নোংরা নীল নক্সা এখন আর কারো অজানা নয় বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর উভয় নেতার অভিলাস ও দুই দেশের স্বার্থ এক বিন্দুতে লীন হয়ে যাওয়ার পর ভারতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলের স্পষ্ট ধারণা সৃষ্টি হয়ে গেছে। ভারতীয়রা একটা বিরাট কিছু অর্জনের আনন্দের উল্লাসে আবগাহন করছে। তারা বুঝতে পারছে না প্রকারান্তরে তারা পেয়েছে একটি মরীচিকা ও একটা রঙ্গীন গ্লাস। আক্ষরিক অর্থেই তারা একটা বিরাট পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা এই জন্যে ওবামার সফর ভারতকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তারা মনে করছে চীন রাশিয়া পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে ভারত এখন অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে। তারা বেমালুম ভুলে গেছে তাদের সামনে অভ্যন্তরীণ ও সামরিক কৌশলগত কত বড় বাধার পাহাড় তারা অর্জন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার পর উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় ভারত মনে করছে রাশিয়া এবং চীন ভারতকে শান্ত রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি, মি. নিকোলাস বার্ন, সিনেটর জন ম্যাককেইন দীর্ঘ দিন ভারতের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তারা ভারতকে বোঝায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারির চুক্তি করলে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারত বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে পারবে এবং আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে চীন রাশিয়াকে মোকাবিলা করার শক্তি অর্জন করতে পারবে। মার্কিন কূটনীতির রূপকার জন কেরি আফগানিস্তানে নেতৃত্ব করার জন্য ভারতীয় উচ্চাভিলাসকে আরও উচ্চকিত করে তুলছে। লাখ লাখ শরণার্থী বছরের পর বছর প্রতিপালনসগহ দশকের পর দশক ধরে গড়ে ওঠা পাক-আফগান সম্পর্কের পরও আফগানিস্তানে মার্কিন পরাজয়কে ছাপিয়ে আফগানিস্তানে নেতৃত্ব করার জন্য ভারত পাকিস্তানকে অতিক্রম করার যে স্বপ্ন যুক্তরাষ্ট্র দেখাচ্ছে ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় বন্ধুদের উপর বিশ্বাস যেখানে সেখানে মার খেয়েছে। আফগানিস্তান থেকে রাশিয়াকে বিতাড়নে পাকিস্তান আফগানিস্তানকে আন্তরিক বন্ধু হিসেবে পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের নিজস্ব উচ্চাভিলাস রয়েছে এবং তাদের স্বার্থকেন্দ্রিক আমেরিকার সাথে এর কোন সম্পর্কই নাই। আফগানিস্তান থেকে বিদায় পর্বে ভারতকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল তা আসলে শেষ পর্যন্ত ভিয়েতনামের পরিণতি বরণ করতে বাধ্য।
চরিত্রগতভাবে ভারতীয়রা খুব ভীরু তবে কৌশলী। প্রেসিডেন্ট ওবামা ভারত ত্যাগ করার পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজকে দ্রুত চীন পাঠান মোদি সরকার। উদ্দেশ্য চীনকে বোঝানো যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা আসলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা মূলত কৌশল যা চীনের জন্য মোটেই কোন চ্যালেঞ্জ নয়। ভেলকিবাজিতে ভারতীয় নেতৃত্ব খুবই দক্ষ। তোষামোদের অন্তরালে ভারতীয় নেতৃত্ব যে চীনের সাথে প্রতারণা করছে চীনা নেতৃত্ব তা বুঝতে পেরেছে।
আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও ঘোষিত দলিলের বাইরেও ভারতীয় নীলনকশা বিস্তৃত। বাস্তবতা হলো আমেরিকা মনে করে, ভারতীয় নিরাপত্তা আর আমেরিকার নিরাপত্তা অভিন্ন ও এক সূত্রে গাঁথা।
তাদের দুই দেশের নিরাপত্তার বিষয় শুধু পাকিস্তান নয়- চীন, রাশিয়ার উদ্বেগের কারণ। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মি. ফ্রাংক কেন্ডাল ডিফেন্স, ট্রেড এন্ড টেকনোলজি ইনিশিয়েটিভ (DTTI) স্বাক্ষরে গতি সৃষ্টির জন্য ২০১২ সালে অন্তত চারবার ভারত সফর করেন। শুধু পাকিস্তান বা আশপাশের দেশই নয় খুব কাছ থেকে চীনকে প্রহরা ও তদারকি করার জন্য ড্রোন প্রযুক্তি, মিলিটারি এয়ারক্রাফটের যন্ত্রপাতি ও তদারকি প্রযুক্তি নির্মাণকল্পে ইন্দো-মার্কিন যৌথ উৎপাদন প্রকল্পই DTTI-এর মূল উদ্দেশ্য। সামরিক দিক থেকে দ্রুত উন্নয়নশীল চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ। কেননা উত্তর দিকে চীনের সাথে রয়েছে ভারতের সীমান্ত বিরোধ। তাছাড়া ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে ন্যাভাল স্বার্থের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আপাত দৃষ্টিতে চীনের একচেটিয়া প্রভাবকে খর্ব করা এবং “String of Pearl” ন্যাভাল স্ট্র্যাটেজিকে নস্যাৎ করাই দুই দেশের প্রধান লক্ষ। তাদের এই উচ্চাভিলাস এখন আর গোপন বিষয় নয়; মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র মি. মওরিন সুম্যান সম্প্রতি বলেছেন, ট্রেড ও শাসনব্যবস্থার মূল শক্তি DTTI। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও ক্রিটিক্যাল ডিফেন্স পদ্ধতির উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। দ্রুত উন্নয়নশীল শক্তি চীনের মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে নিবিড় চুক্তি মার্কিন প্রতিরক্ষা কৌশলী-এ্যাশ কার্টার নির্দেশিত DTTI। এর মতো চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের আকাক্সিক্ষত প্রতিরোধ কৌশলে প্রধান শক্তি যোগাবে।
চীনের বিরুদ্ধে দুই দেশের অংশীদারি স্বার্থের গভীরতা ভারতপন্থী ও চীন বিরোধী বিশেষজ্ঞ মি. স্টিফেন কোহেন-এর মতে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে একবিন্দুতে আসতে দুই দেশের যৌথ কৌশলগত লক্ষ্যের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।
সম্প্রতি দুই দেশের বিশেষজ্ঞগণ R-II Raven Drone চীন ও কাশ্মীরে নজরদারী করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত C-130 মিলিটারি এয়ারক্রাফট নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই নির্মাণ প্রকল্পে চিনুক ও এ্যাপাচি হেলিকপ্টারও রয়েছে।
এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত মিলিটারি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সিভিল ও মিলিটারি গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ চীন সাগরে MALABAR মহড়া সম্প্রসারণে অগ্রসর হচ্ছে। এক্ষেত্রে মোদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মি. মনোহর পরিকার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে এ্যান্থনীর মত বাধা সৃষ্টি করেনি। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে এ্যান্থনী যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত একত্রিকরণের পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য এশিয়া। কারণ এশিয়ায় চীন ও রাশিয়ার শক্তিশালী অবস্থানকে মোকাবিলা করা আমেরিকার উদ্দেশ্য। সমুদ্রে যোগাযোগের স্বাধীনতা, চীনের প্রভাব থেকে সমুদ্রেকে মুক্ত রাখা এবং সিল্করুটের (silk route) মোকাবিলা করাই এখন এই দুই দেশের প্রাথমিক লক্ষ্য। ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থল ও আকাশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, এয়ারক্র্যাফট প্রযুক্তি বিনিময়ের উদ্দেশ্য চীন ও রাশিয়াকেও মোকাবিলা করা এবং এর ফলে পাকিস্তানকে দুর্বল করা।
বেসামরিক পর্যায়ে পারমাণবিক চুক্তির লক্ষ্য ও এই অঞ্চলে পাকিস্তানের প্রভাব ক্ষুণ্ন করা এবং ভবিষ্যতে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা অর্জন। এই অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থিতিশীলতা। ফলে পাকিস্তানের মুখ্য বিষয় কোন অবস্থাতেই রাশিয়া ও চীনের সাথে সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে কোনো প্রকার শৈথিল্যের অবকাশ নেই। ইন্দো-মার্কিন চক্রান্তের নীলনকশাকে নস্যাৎ করে দেয়াই পাকিস্তানের প্রাথমিক লক্ষ্য। রাশিয়া ও চীনকে ঠান্ডা রাখার ভারতীয় কৌশল প্রকৃতপক্ষে কূটনৈতিক প্রতারণা ভারতীয়দের জন্মগত। ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি সমগ্র এশিয়ায় আগ্নেয়গিরির বিসুভিয়সের জন্ম দিয়েছে। এই আগ্নেয়গিরি যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে সংঘাতের একটা হতে পারে বাংলাদেশ।
ভাষান্তর : ইবরাহিম রহমান

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button