ইতিহাস কাঁপানো জয়

Cricketওয়ানডে সিরিজের পর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও দাপুটে জয় পেল টাইগাররা। গতকাল বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তানকে। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটাও হলো না। হারতেই হলো টাইগারদের কাছে। ফলে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের কাছে পাত্তাই পেল না সফরকারীরা। বিশ্ব ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি ফরমেটে পাকিস্তান সেরা দলের মধ্যে একটি। আর আফ্রিদি ছিলেন টি-টোয়েন্টি সেরা ক্রিকেটার। তাই আফ্রিদির ওপর ভর করেই জয়ে ফিরতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও হতাশায় ডুবলো পাকিস্তান। জয়ের জন্য ১৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে জয়ের জন্য খেলতে হয়েছে ১৬.২ ওভার। আর হারাতে হয়েছে মাত্র তিন উইকেট। সাকিব আর সাব্বির রহমান তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের জুটি করেই দলকে জয় এনে দেন। ম্যান অব ম্যাচের পুরস্কারও পান সাব্বির রহমান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ছিল ১৪২ রান। টার্গেটটা যে টাইগারদের আয়ত্তের মধ্যেই ছিল তা বলাই যায়। আর ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল শুরু করলেন ঝড়ের গতিতেই। তবে দলীয় ১৭ রানে ১০ বলে ১৪ রান করে তামিম ওমর গুলের বলে উইকেট হারায় হাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়েই। অবশ্য এর আগেই দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।  রান আউটের ফাঁদে পড়ে কোন বল না খেলেই মাঠের বাইরে যেতে হয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত হওয়া সৌম্য সরকারকে। দলীয় ৩৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার ১৯ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ফলে একটু চাপেই পড়ে টাইগাররা। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান আর সাব্বির রহমান ১০৫ রানের দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয় সহজ করে দেয়। এই জুটি ভাঙার আগেই বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১৪৩ রানে। ফলে ৭ উইকেটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। দলের পক্ষে সাকিব ৬৭ বলে ৫৭ রানে আর সাব্বির ৪৩ বলে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে ওমর গুল আর ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৫ উইকেটে করে ১৪১ রান। জয়ের জন্য রানটা যে যথেষ্ট ছিল তা কিন্তু নয়। তাই প্রথম থেকেই হতাশ ছিল পাকিস্তান। ওয়ানডে ম্যাচে হোয়াটইওয়াশ হওয়া পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় স্কোর গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যাটসম্যানই সেটা করতে পারেনি। বিশেষ করে অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। কারণ আফ্রিদির ওপরই বেশি ভরসা ছিল পাকিস্তানের। যদিও ৯ বলে ১২ রান করে আফ্রিদি একটি বিতর্কিত আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে তার বিদায়েই দলের মনোবলে বিরাট ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষে অভিষেক হওয়া ওপেনার মুক্তার আলী সর্বোচ্চ ৩৭ রান আর হারিস সোহেলের অপরাজিত ৩০ রানের ওপর নির্ভর করে পাকিস্তান ১৪১ রান করতে পারে। এছাড়া দলের পক্ষে মোহাম্মদ হাফিজ ২৬ আর আহমেদ শেহজাদ করেন ১৭  রান। বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান ২০ রান দিয়ে একাই নেন দুই উইকেট। এছাড়া আরাফাত সানি আর তাসকিন আহমেদ নেন একটি করে উইকেট। ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের সামনে পাকিস্তানের কোন বোলারই নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। সাকিব উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৭ রান। ফলে পাকিস্তানকে ১৪১ রানেই আটকে ফেলে বাংলাদেশ। আর জয় নিয়েই নিজেদের সেরা প্রমাণ করে টাইগররা।
ম্যাচ শেষে মাঠে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান: ১৪১/৫ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৪৩/৩ (১৬.২ ওভার)
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button