‘বাঘ, রাক্ষস, সাপ, কুমির ও পেঁচা মুসলমানের মঙ্গলের উৎস হতে পারে না’

বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। উৎসব আনন্দ কোনো ধর্মেই নিষিদ্ধ নয়। তবে যে জাতির ৯৩ ভাগ মানুষ ইসলামে বিশ্বাসী, তাদের উৎসব-পার্বণ, জীবন ও সংস্কৃতি সবই হতে হবে শিরকমুক্ত। পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী ধর্মের দেবদেবীর সাথে যুক্ত ও ধর্মীয় বিশ্বাস-সংস্কৃতির অংশ কোনো নিদর্শন বা প্রতীক মুসলমানের মঙ্গল অমঙ্গলের উৎস হতে পারেনা। তাছাড়া এসব জীবজন্তুর মূর্তি কোনো মানুষেরই কোনো লাভ কিংবা ক্ষতি করতে পারে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া আর কেউই মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক নয়। জাতি হিসাবে সার্বজনীন উৎসব বা অনুষ্ঠানগুলো হওয়া চাই সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। কোনো সম্প্রদায়ের পূজা পার্বণ ও ধর্মীয় নিদর্শন মুসলিমপ্রধান জাতির সংস্কৃতি হতে পারে না। নতুন বছরের শোভাযাত্রাসহ প্রতিটি জাতীয় উৎসব হতে হবে সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। ভিন্নধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী সাপ, কুমির, ময়ূর, রাক্ষস, বাঘ ও দেও-দানবের প্রতিকৃতি নিয়ে দলবেঁধে ছুটলে মানুষের মঙ্গল হয়, এটি কুসংস্কার হতে পারে, অন্য কোনো ধর্মের অংশ হতে পারে কিন্তু এক আল্লাহর বিশ্বাসী মুসলিম জাতির জন্য এসবে কোনো মঙ্গল বা শুভবার্তা নেই। এসবের মাঝে কোনো মঙ্গল রয়েছে এমন মনে করার কোনো বৈধতাও শরীয়তে নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের বিশ্বাস পোষণ করা সম্পূর্ণ হারাম। গতকাল এক বিবৃতিতে মুসলিম যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোসাদ্দেক বিল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ৯৩ ভাগ মানুষ তাওহীদ ও রিসালাতে বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের মঙ্গল-অমঙ্গল আল্লাহর হাতে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ধার্মিক নেত্রী। তিনি যে কুরআন তিলাওয়াত করেন, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং দোয়া, জিকির, মুনাজাত, হজ, ওমরা করেন, কেবল এসব থেকেই তার সবধরনের প্রকৃত মঙ্গল লাভ করা সম্ভব। এ দেশের মুসলমানরাও সকল উৎসব-পার্বণে আল্লাহর নাম নিয়েই মঙ্গল লাভ করে, কোনো জীবজন্তুর নাম নিয়ে নয়। তিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ৯৩ ভাগ মুসলমানের জীবনচিত্র প্রতিফলিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপসংস্কৃতি, বেলেল্লাপনা, কুসংস্কার ও শিরকমাখা কাজকর্ম জাতির ওপর যারা চাপিয়ে দিতে চাইছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য তাদের দুরাভিসন্ধি নস্যাৎ করে দিয়ে জাতির প্রতিটি ধর্ম ও সম্প্রদায়কে তার প্রকৃত চেহারায় ধরে রাখা। যেন সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে এবং বিশ্বাস ও মূল্যবোধ বজায় রেখে জাতীয় উৎসবে যোগ দিতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button