ব্রিটেনে প্রতি মিনিটে একজন ইমিগ্র্যান্টের প্রবেশ

UK BAব্রিটেনের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আর মাত্র হাতে গুণা কয়েক দিন বাকী। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে নির্বাচন। এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইমিগ্রেশন ইস্যুকে প্রধান্য দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ সালের ভেতরে যে পরিমান ইমিগ্র্যান্টস ইউকেতে প্রবেশ করেন, তার হিসেব অনুযায়ী গড়ে প্রতি মিনিটে একজন ইমিগ্র্যান্টস ইউকেতে এসে প্রবেশ করেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১০ সালের ভেতরে শুধু ফরেইন পপুলেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৩ দশমিক ৬ মিলিয়নে। লন্ডন, বার্মিংহ্যাম, লিডস, গ্লাসগো, শেফিল্ড এবং ব্রাডফোর্ডের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে এ সংখ্যা আর আগের ১৩ বছরের চার গুণের বেশি। ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের ভেতরে প্রায় ৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ইমিগ্র্যান্টস ইউকেতে প্রবেশের অনুমতি পান।
আগামী নির্বাচনে ইমিগ্রেশন হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্যু। ইউকিপ ইমিগ্রেশন ইস্যু নিয়ে নাজেহাল করতে চাইছে লেবার এবং টোরি পার্টিকে।
ইউকিপ বলছে, তারা ইমিগ্রেশন সিস্টেমে ক্যাপ নিয়ে আসতে চায়। ক্যাপের মাধ্যমে নেট ইমিগ্রেশনের সংখ্যা ৫০ হাজার রাখতে চায় ইউকিপ।
অন্যদিকে লেবার লিডার এড মিলিব্যান্ড বলছেন, ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ওয়াদা করেছিলো টোরি, সেই ওয়াদা রক্ষায় তারা ব্যর্থ হয়েছে। টোরি বলেছিলো নেট ইমিগ্রেশনের সংখ্যা ১০ হাজারে নিয়ে আসবে।
তবে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মাইগ্রেশন ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন কেওয়াসের জন্য লেবারপার্টিকে দায়ী করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরুনও ব্যর্থ হয়েছেন নেট মাইগ্রেশনের নিয়ন্ত্রণে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩শ হাজারের বেশি। অথচ টোরি লিডার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরুন গত নির্বাচনে ওয়াদা করেছিলেন নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা দশ হাজারে নামিয়ে আনবেন বলে। তাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button