সিরিয়া : গুম খুন অপহরণ আতঙ্কের দেশ

Syria২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির হাজার হাজার মানুষের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সারা দেশে সরকারিবাহিনী অথবা জঙ্গি গ্রুপগুলো তাদেরকে গুম বা অপহরণ করে গোপন স্থানে অমানবিক অবস্থায় অন্তরীণ করে রেখেছে, তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করার ব্যবস্থা নেই। এভাবে অনেকের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। অপহৃতদের ভাগ্যে কী ঘটছে তা জানতে না পেরে তাদের আত্মীয়স্বজনেরা অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সম্প্রতি আইএস কর্তৃক পশ্চিমা সাংবাদিকদের শিরচ্ছেদের ঘটনায় বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহী গ্রুপগুলো বা সরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে এখনো অনেক সিরীয় অপহরণের শিকার হচ্ছেন অথচ তারা অপহরণের এ কথা অস্বীকার করছেন।
মানবাধিকার গ্রুপগুলোর মতে, হাজার হাজার নারী-পুরুষ এবং শিশুকে রাস্তা, বাড়িঘর এবং কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে গেছে অপহরণকারীরাা। গোপন স্থানগুলোতে নির্যাতনের শিকার অপহৃতরা কয়েক বছর ধরে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অথচ তারা আইনি আশ্রয় বা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিরিয়া এবং লেবানন-বিষয়ক গবেষক লামা ফাকিহ বলেন, এ ধরনের অপহরণ এবং জোর করে বন্দীর ঘটনা গণ-আন্দোলন শুরুর পর থেকেই লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে প্রথম দিকে এর লক্ষ্য ছিল বিক্ষোভকারীরা। পরে সরকারের কার্যক্রমের বৈধ পর্যবেক্ষক মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং আইনজীবীরাও সরকারি বাহিনীর অপহরণের টার্গেটে পরিণত হন। তিনি বলেন, নিখোঁজ লোকদের অবস্থান বা ভাগ্য সম্পর্কে তাদের পরিবারের লোকজন কিছুই জানেন না।
এ ধরনের এক ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪৩ বছর বয়সী লেখিকা ও মানবাধিকারকর্মী সামিরা আল খলিল। সামিরার স্বামী ইয়াসিন আল হাজ সালেহ তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার আইনজীবী রাজান জিতাউনেহ, তার স্বামী ওয়ায়েল হামাদেহ এবং আরেক আইনজীবী নাতিম হামাদিসহ সামিরাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সিরিয়ার বার্ষিক মানবাধিকার দিবসের এক দিন আগে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। ইয়াসিন জানান, রাজধানী দামেস্কের বাইরে পূর্ব গৌউতা এলাকায় সামিরার অফিসে হামলা হানা দেয় মুখোশপরা সশস্ত্র একটি গ্রুপ। ল্যাপটপসহ তাদের চারজনকে আটক করে নিয়ে যায় তারা। এ সময় ওই চারজনের একজন তার ভাইয়ের সাথে স্কাইপে কথা বলছিলেন। তাদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের চিৎকার শুনতে পান। ইয়াসিন তার বন্ধুদের কাছ থেকে এ খবর শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। সেই মুহূর্তের স্মৃতি উল্লেøখ করে ইয়াসিন বলেন, আমি তখন কিছুই করতে পারছিলাম না।
ইয়াসিন মনে করেন, অপহরণকারীরা দামেস্কের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী জঙ্গি গ্রুপ জায়েশ আল ইসলামের সদস্য ছিল। রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে সামিরা এবং রাজানের আইনবিষয়ক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করার কারনেণ তারা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। তিনি বলেন, এ ধরনের গ্রেফতার, অপহরণ ও বিনাবিচারে আটক রাখা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়।
ইয়াসিন তার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, এখন তার বয়স ৪৩ বছর। বিরোধী সংগঠন কমিউনিস্টের সদস্য হওয়ার কারণে ১৯ বছর বয়সে গ্রেফতার হয়ে তাকে ১৬ বছর আটক থাকতে হয়েছিল। তিনি বলেন, জেলখানায় ঘুসি এবং চাবুক মেরে আমার ওপর অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালানো হতো। কখনো সকালে কয়েকটি জলপাই নাস্তা দিত। এভাবে কয়েক মাস ধরে না খেতে দিয়ে অসহনীয় নির্যাতন করা হতো। এ কারণে স্ত্রী এবং তার সহকর্মীদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন। ইয়াসিন বলেন, আমরা জানি না তাদের খাবার বা পোশাক দেয়া হচ্ছে কি না বা আদৌ তারা সুস্থ আছেন কি না। এটা হুবহু সেই ঘটনা, যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমাকে এবং আমার শত শত বন্ধুকে।
জাতিসঙ্ঘের সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্রবিষয়ক তদন্ত কমিশনের কাছে সরকারিবাহিনী কর্তৃক গণগ্রেফতার এবং যুদ্ধ করতে সক্ষম এমন পুরুষদের অপহরণের প্রমান রয়েছে। কমিশন জানায়, বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ, বিক্ষোভকারী, সক্রিয় কর্মী ও ব্লগারদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে এ ধরনের গণগ্রেফতারে পথ অবলম্বন করে সরকার।
মানবাধিকার সংস্থা দ্য সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাবে, সিরিয়ার সরকার প্রায় ৮৫ হাজার লোককে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে সিরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ডকারী সংস্থা ভায়োলেশন ডকুমেন্টেশন সেন্টারও (ভিডিসি) মনে করে, এ সংখ্যা হাজার হাজার।
আইএস কর্তৃক এক হাজার দুই শ’র বেশি লোক অপহরণ এবং আরো আড়াই হাজার লোককে খুঁজে না পাওয়ার প্রমাণ পেয়েছে ভিডিসি। তবে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক অধিদফতর মনে করে, অপহৃতদের প্রকৃত সংখ্যা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে জানা সম্ভব হবে না।
কাউকে আটক, বন্দী বা অপহরণের পর আটককারীরা তা অস্বীকার করাই হচ্ছে গুম। গুম হওয়া লোকদের পরিণতি বা অবস্থান তাদের আত্মীয় এবং বন্ধুদের কাছে গোপন রাখা হয়। এ অবস্থায় বন্দীদের আইনি নিরাপত্তার বাইরে রাখা হয়। ২০১১ সালের মার্চে গণতন্ত্র সমর্থিত বিক্ষোভ চলাকালে জাতিসঙ্ঘের সিরিয়া আরব প্রজাতন্ত্রবিষয়ক তদন্ত কমিশনের তথ্য মতে, দেশটির সরকারিবাহিনী প্রথমে গুম শুরু করে। সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সশস্ত্র সঙ্ঘাতে রূপ নেয়ার সাথে সাথে এর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। কখনো শাস্তিমূলকব্যবস্থা হিসেবে প্রতিপক্ষকে চিকিৎসা সহায়তাকারী, বিরোধী যোদ্ধা, বিক্ষোভকারী এবং সরকারপক্ষ ত্যাগকারীদের পরিবারের সদস্যদের ওপর গুমের খড়গ নেমে আসে।
দুই বছর ধরে সরকারবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ একই কৌশল অবলম্বন করছে। তাদের সমর্থন করে না এমন মনে হলেই ওই গ্রুপগুলো বেসামরিক লোকদের অপহরণ করছে। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান না পাওয়ায় কিছু অপহরণকে গুম বলে ধরে নেয়া হয়। অপর দিকে বন্দিবিনিময় বা মুক্তিপণ চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যান্য আটক ব্যক্তিকে মৃত্যুর হুমকির মধ্যে থাকতে হয়।
এ ধরনের আটক অবস্থা থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন তাদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে যে, তাদের ভয়াবহ অবস্থার শিকার হতে হয়েছে। সিরিয়ার আলেপ্পো, দামেস্ক, দ্বারা, হোমস, ইদলিব এবং লাতাকিয়ায় সরকার পরিচালিত ২৭টি নির্যাতন কেন্দ্রের প্রমাণ পেয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এইচআরডব্লিউর তদন্তকারীদের আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলখানাগুলোতে এমন গাদাগাদি করে রাখা হতো যে, তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হতেন। আবার অনেকে খাবার না দেয়া, চোখ বাঁধা, হাতকড়া পরা, এমনকি বিবস্ত্র করে রাখার কথাও অনেকে জানিয়েছে। এ ছাড়া হাত-পায়ের নখ উপড়ানো, পুড়িয়ে ফেলা, ফাঁসির মহড়া, বৈদ্যুতিক শক, ধর্ষণ এবং অব্যাহতভাবে পেটানোর বর্ণনা দেন তারা। এ ধরনের অত্যাচারে অনেকে মারাও গেছেন।
যুদ্ধাপরাধবিষয়ক সাবেক তিন আইনজীবী ২০১১ মার্চ থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত মৃত বন্দীদের ৫৫ হাজার ছবি পরীক্ষা করেছেন। তারা মনে করেন, বিক্ষোভ সূচনার সময় থেকে ১১ হাজার আটক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হতে পারে। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসঙ্ঘ জানায়, সরকার এবং এর বিভিন্ন সংস্থা বেশির ভাগ অপহরণ ও গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে। আইএসএর দ্বারাও কিছু গুম ও নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
২০১৩ সালের আগস্টে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল রাক্কায় একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণের পর চিত্রগ্রাহক নূর বেঁচে আছে না মারা গেছে তার খোঁজ নিতে গেলে তার কয়েকজন আত্মীয়ের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়েছে। ধ্বংসাবশেষের পাশে ২২ বছর বয়সের এক যুবক ও তার ক্যামেরাকে পুড়তে দেখে তারা বুঝতে পরলেন যে তার কি পরিণতি হয়েছে।
মুহাম্মদ নূরের বড় ভাই আমের মাতার বলেন, কোনো তথ্যের জন্য আইএসকে ঘুষ দেয়া যায় না। কাউকে আটকের কথাও তারা স্বীকার করে না। তার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি তার ভাইয়ের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন। ২৮ বছর বয়স্ক আমের বলেন, ইন্টারনেটে খবরগুলো দেখে আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়ি।
তিনি জানান, বিস্ফোরণ স্থলে আমরা তার কিছুই খুঁজে পাইনি। হাসপাতালে গেছি, আশপাশের লোককে এমনকি আইএসের যোদ্ধাদের জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু তাকে খুঁজে পাইনি আমরা। অনেকে আমাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। সেসময় আমরা গোলক ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলাম।
পরে আমরা সংবাদ শুনতে গিয়ে দেখলাম যে, নূর মারা যায়নি। তাকে রাক্কায় আইএসের জেলখানায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত এভাবেই আটক ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাদের আত্মীয়রা জানতে পারে বলে উল্লেখ করেন আমের।
২০১১ সালে সরকারি বাহিনীর হাতে আমেরও দুইবার আটক হয়েছিলেন। রাক্কায় আইএসের বোমা হামলার দৃশ্যটি টেলিভিশনে দেখেই আমের বুঝতে পারেন যে, তার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। সরকারি বা অর্থনৈতিক সহায়তা ছাড়া মুহাম্মদ নূরকে মুক্ত করতে তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। আমের বলেন, আমাদের হাত বাঁধা। আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা বুঝতে পারছি না এসব সিরীয়কে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে।
মাইশা সালেহও একই রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। তার বোন পঁচিশ বছর বয়সী সামারকে খুঁজে পেতে তিনি ছোটাছুটি করছেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাইশা তার বোনের অপহরণ ঘটনা বর্ণনা দিয়ে জানান, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সরকারি বাহিনীর হাত থেকে তার মুক্তির আধা ঘণ্টা পরেই একটি সশস্ত্র গ্রুপ কর্তৃক তার বোন সামারার অপহরণের কথা জানতে পারেন তিনি। মাইশা তার মুক্তির খবর পরিবারকে জানানোর জন্য ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো খুলে দেখেন যে তার বোনকে অপহরণ করা হয়েছে। স্মৃতিচারণ করে ৩১ বছর বয়সী মাইশা বলেন, মুক্তি পেয়ে প্রথমে আমি খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু সামারার খবর জানার সাথে সাথেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। জেলখানায় থাকাকালে বাইরের কোনো খবর না পাওয়ায় মাইশা আইএসের মতো জঙ্গি গ্রুপের উত্থান সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আমি প্রথমদিকে আশ্চর্য হই। আইএস কে? তারা এসব কেন করছে? এ ধরনের অনেক প্রশ্নই আমার মাথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু এর কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমি। পরে মাইশা জানতে পারেন যে, আলেপ্পো প্রদেশে ছবি তোলার সময় সামার এবং তার বাগদত্ত মুহাম্মদ আল উমরকে (২৫) অপহরণ করা হয়েছে। মাইশা বুঝতে পেরেছেন যে, এখানকার জীবন জেলখানায় পরিণত হয়েছে। দামেস্কে একটি কফি হাউজে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময় ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সরকারি বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। শুধু তার সাথে থাকার কারণে তার বন্ধুদেরও আটক করা হয়। তাদের কয়েকজন এখনো জেলখানায় বন্দী রয়েছেন। গ্রেফতার হওয়ার সাড়ে ছয় মাস পর্যন্ত মাইশার পরিবার জানতো না যে তিনি বেঁচে আছেন না মারা গেছেন। তাকে কিভাবে চড় মেরে এবং আঘাত করে নির্যাতন করা হয়েছে সে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন। কিন্তু তার গ্রেফতারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আটককারীরা কিছুটা নমনীয় ছিল। আমার কয়েক বন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। আর একজন তো প্রায় মারাই গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তারা বেঁচে আছে না মারা গেছে সে ব্যাপারে নানা জনে নানা কথা বলেন। সামারা মারা যায় তাহলে অন্তত তার লাশটা আমাদের দেয়া হোক। মাইশা ২০১৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পান। এ বছরের গোড়ার দিকে সরকারি বাহিনী মাইশার বাড়িতে আবার হামলা চালিয়ে তার চাচাতো বোন এবং তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তারা দুইজন এখনো জেলে রয়েছেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাব পাস করে। এতে সিরিয়ার বেসামরিক জনগণের ওপর নির্যাতন, তাদের আটক, অপহরণ এবং গুমের নিন্দা জানানো হয়। এর সাথে সব আটক ব্যক্তির মুক্তি এবং এ ধরনের ঘটনা বন্ধের দাবি জানানো হয়। সূত্র : বিবিসি, অনুবাদ : মীম ওয়ালীউল্লাহ

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button