রাজাকারদের দল বিএনপি : জয়

Joyবিএনপিকে রাজাকারদের দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি প্রমাণ করতে চায় যে তারা রাজাকারের দল নয়, তাহলে তাদের জোট ভেঙে ফেলুক। জোট না ভাঙলে এটা প্রমাণ হবে যে তারা রাজাকারের দল। আর রাজাকারদের স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমানই এনেছেন। তাই বিএনপি হচ্ছে রাজাকারদের দল।’
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সূচনা বক্তৃতা করেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম না উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এরা কি পাগল হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েবলস হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। তার নীতি ছিল একটা মিথ্যা কথা যদি বারবার বলতে থাকা হয়, তাহলে এক সময় মানুষ ওটাই বিশ্বাস করবে। তাদের উদ্দেশ্যও এটাই। মিথ্যাচার চলতে থাকলে মানুষ এক সময় বিশ্বাস করবে। আমরা যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি তাদের দায়িত্ব অনেক। মিথ্যাচারের মোকাবেলা করতে হবে, লাজুক হলে চলবে না, টেলিভিশনে গিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, আওয়ামী লীগ যত দিন মতায় আছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এ দেশে হবে। যারা রাজাকার, একাত্তরে খুন, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। যারা তাদের সমর্থক তারা কি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতে পারে?
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যাবজ্জীবন রায়ের কথা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী অনেকে বলেন, এটাতে নাকি ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেকে বলেন, সাঈদীকে ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে জামায়াতকে বাঁচাতে। যদি তা-ই হবে, তাহলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুনের ফোনের পরও কেন আওয়ামী লীগ সরকার একজন মানবতাবিরোধী অপরাধীর ফাঁসি দিয়েছে। সরকার কারো কথা শোনেনি।
দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ভালো খবর প্রচার হয় না মন্তব্য করে জয় বলেন, সরকারের সফলতা তুলে ধরতে আপনাদের লজ্জা লাগে, সফলতার কথা লিখলেও একটু খোঁচা দিয়ে কথা বলেন।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দু’টো আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের জয়ের পরও এ নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, আমাদের কারো সার্টিফিকেট লাগে না। আমরাই আমাদের সার্টিফিকেট। আমরা কারো চোখ রাঙানিকে ভয় পাই না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button