এমপিকে চ্যাংদোলা করে ডাস্টবিনে

MPএকেই বোধ হয় বলে আম জনতার রোষ! অপছন্দের এক পার্লামেন্ট সদস্যকে (এমপি) চ্যাংদোলা করে আস্তাকুঁড়ে তথা ডাস্টবিনে ফেলে দিলেন একদল জনতা। রাগ এখানেই কমেনি। জঞ্জালে পড়ে থাকা এমপির উপর পচা পানীয় ঢেলে টায়ার চাপাও দিলেন ওই বিক্ষোভকারীরা। বেচারা জনপ্রতিনিধির তো তখন ‘ধরণী দ্বিধা হও’ দশা! জনতার হাতে পায়ে ধরে পুলিশের সহযোগিতায় কোনোরকমে বেঁচে ফিরে ওই সাংসদের বক্তব্য, এই ঘটনা বিরোধীদের চক্রান্ত। আর কি-ই বা বলবেন! কারণ ওই এমপিকে যারা ডাস্টবিনে ফেললেন, তারা ওই এমপির সমর্থক হিসেবেই পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
কী হয়েছিল?
মঙ্গলবার ইউক্রেন পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়। ওই বিল অনুয়ায়ী, ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের দলের এমপিদের পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তারা আর এমপি পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না।
পার্লামেন্টের যে সদস্যদল ওই বিলের খসড়া তৈরি করেছেন, সেই দলেই ছিলেন এমপি ভিতালি জুরাভস্কি। বুধবার জুরাভস্কির সমর্থনেই পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়েছিলেন একদল ইউক্রেনবাসী। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই তারা বিলের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। নেতৃত্বে ছিলেন জুরাভস্কি। হঠাত্ চিত্রনাট্য বদলে গেল। বিলের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতেই জুরাভস্কিকে চ্যাংদোলা করলেন তার সমর্থকরা। তার পর সোজা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ।
এর পর যে যা আবর্জনা হাতের কাছে পাচ্ছেন, তা-ই জঞ্জালের বালতিতে ফেলা শুরু করলেন। পুরনো টায়ার, পানি, পচা পানীয়। ওই জনপ্রতিনিধি প্রথমে বুঝতেই পারেননি, ঠিক কী হতে চলেছে। বুঝবেনই বা কী করে! নিজেরই সমর্থক এরকম ব্যবহার করবে দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক জুরাভস্কি প্রথমে সমর্থকদের কড়া ভাষায় নির্দেশ দিচ্ছিলেন, পরে কেঁদেই ফেললেন। শেষমেশ নিরাপত্তারক্ষীদের সহযোগিতায় জনতার হাত থেকে বেঁচে ফেরেন ওই এমপি।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পুলিশে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি জুরাভস্কি। বিস্মিত ও দৃশ্যতই ভীত ওই জনপ্রতিনিধির কথায়, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা আমার বিরোধীদেরই চক্রান্ত। না-হলে এরকম হতে পারে না।’ জুরাভস্কির হেনস্থার ঘটনায় হতবাক অন্য এমপিরাও।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button