ট্রানজিট না স্বাধীনতা বিক্রি ?

Enamএনাম চৌধুরী
১৯৯৯ সালের ২৮ জুলাই তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী পরিষদে সরকার ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত পৌঁছে এবং সেটি অনুমোদন করে। মন্ত্রী পরিষদের ঐ দিনের বৈঠকে ট্রানজিট এর সুযোগ-সুবিধা অথবা ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ, রাজনৈতিক স্বার্থ কোন কিছুই আলোচিত হয়নি। আলোচিত হলেও ট্রানজিট প্রদানের মতো দেশের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নেতিবাচক একটি শব্দ উচ্চারণের দুঃসাহস কোন মন্ত্রী দেখাননি কিংবা দেখানোর ইচ্ছাও পোষণ করেননি।
তবে এখানে চমৎকার একটি বিষয় হলো (?) কথিত সুপ্রতিবেশী ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের ফলে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের কি লাভ হবে সেটা সরকারের কোন পর্যায় থেকেই যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান না করলেও সরকার প্রদান থেকে শুরু করে, মন্ত্রী, এমপি, আমলা, নেতা-পাতিনেতা, সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, নানা ব্যানারে সমর্থকরা বিনা বাক্যে ট্রানজিটকে শুধু সমর্থনই করছে না, এর পক্ষে কে কত সাফাই গাইতে পারে সেটা নিয়ে যেন রীতিত প্রতিযোগিতা করেছিলো তারা। তবে তাদের ঐ সমর্থনের ধরণ, বক্তব্য-বিবৃত্তির ভাষা, শব্দ চয়ন এবং বলার ধরণ প্রমাণ করেছে, তারা দেশের জাতীয় স্বার্থে কিছু করছে না, বরং নিজ স্বার্থেও বিদেশী প্রভূদের অন্তরাত্মার প্রেমে মশগুল হয়ে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ভদ্রবেসে অবস্থান নিয়েছে।
ট্রানজিট সমর্থক এসব স্বার্থপরদের মূল টার্গেট হলো নিজেদের ফায়দা উঠিয়ে নিয়ে প্রভূদের স্বার্থ রক্ষা করা। প্রভূরা খুশী হলে তাদের ফায়দা হাসিল হবে তাই তারা শেয়াল স্বভাবের মতই সব কিছুতেই ‘হুক্কা হুয়া’ না বলে ‘জ্বি হুজুর-জি হুজুর’ সমর্থক দিয়েই যাচ্ছে। আর এছাড়া সুবিধাভোগীদের কোন পথও নেই। দেশের বারটা বাজুক কিংবা গোল্লায় যাক সেটা নিয়ে এদের কোন ভাবনা নেই। তারা শুধু ‘গড় এবং আনুপাতিক হিসেবের অংকে নানা ধরণের হিসেব-নিকেষ কষে সুবিধার গল্প শোনায়।
এরা মূলত দেশের সাধারণ জনগণকে ধোঁকা দিতে নানা ধরণের গল্পের ফাঁদ পেতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, গোল-টেবিল বৈঠক করে লাভের অংশ শোনায়। কিন্তু ভারত ট্রানজিট সুবিধা নিলে আমাদের লাভ কি, সেটা তারা কখানো পরিস্কারভাবে বলেনি কিংবা বলেও না। নানা ধরনের মিথ্যা, অবান্তর উদ্ভট গল্পের বাহারী রচনা শুনিয়ে এরা ভারতের স্বার্থ রক্ষায় ট্রানজিট প্রদান করে দেশকে তাদের বক্তব্য অনুযায়ী একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যথার্থ উপযোগী করার প্রয়াস চালিয়েছে।
আর সরকার ধোঁকাবাজির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে উদ্ভট বানোয়াট ও অবাস্তব আয়ের গল্প শুনিয়ে ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের সিদ্ধান্ত কোন না কোন ভাবে জায়েজ করার অপচেষ্ঠা চালিয়েছিলো।
ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের যে লাভের হিসেব তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি, আমলা, বুদ্ধিজীবীরা শুনেছিলো আর সেটা যে চরম মিথ্যা ছিলো এর প্রমাণ সংশ্লিষ্টদের উল্টা-পাল্টা বক্তব্য থেকেই বেরিয়ে এসেছিলো।
তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী আই কে গুজরাল বাংলাদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সফরকালে তার এক বক্তব্যে হিসেবে দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ যদি ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করে তবে সেটা থেকে বাংলাদেশের চল্লিশ কোটি মার্কিন ডলার বা চারশত মিলিয়ন যা বাংলাদেশী টাকার অংকে দুই হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারে।
আই কে গুজরালের ঐ সময়ের দুই হাজার কোটি টাকা ট্রানজিট প্রদানের ফলে আয় হবে এমটি হিসেব প্রদানের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বর্তমানেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (?) ) সব জায়গায় ঐ বক্তব্যটি রিপিট করা শুরু করেন যে, ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের বার্ষিক আয় হবে দুই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কিভাবে ঐ দুই হাজার কোটি টাকা আয় হবে সেটা সম্পর্কে নূন্যতম ধারণাটুকু প্রদান করতে কখনো দেখা যায়নি শেখ হাসিনাকে।
এখানে আরেকটি বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে, ভারত যাতে যে কোন ভাবে ট্রানজিট সুবিধাটুকু পায় সে জন্য সরকারের মদদ পুষ্ঠ কতিপয় ব্যক্তি সংগঠন ও মৌসুমী সুবিধাবাদী এবং সুবিধাভোগী গ্র“প কাজ করেছিলো। বিশেষ করে রেহমান সোবহান নামের একজন গবেষক ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন সব চেয়ে বেশী তৎপর। আওয়ামীলীগ সরকারের তাদের দাদা বাবু ও ভারতীয় প্রভূদের যাতে যে কোনভাবে ট্রানজিট প্রদান করতে পারে সে জন্যই রেহমান সুবহানদের তৎপরতা ছিলো সীমাহীন। শুধু মাত্র ট্রানজিটের সুবিধা নিয়ে ঐ অধ্যাপকের নির্লজ্জ দালালী ছিলো অচিন্তনীয়। নামী-দামী লোকদের উপস্থিতিতে এসব সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গোল টেবিল বৈঠকে রেহমান সোবহানরা একটি তথ্যই দিয়েছিলেন যে, ভারতকে ট্রানজিট প্রদান, ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে যে রুট দিয়ে গেলে ভারতের সুবিধা কিভাবে সবচেয়ে বেশী হয় ও করিডোর প্রদান করলে কি রকম ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছেন অবিরাম।
২৮ জুলাই ১৯৯৯ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এর পক্ষে মাঠ পর্যায়ে জনমত আদায়ের জন্য কাজ শুরু করেন খুদ প্রদানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বিভিন্ন সমাবেশে এলোমেলো কায়দায় বক্তব্য প্রদান করে বলা শুরু করেন যে, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করে বাংলাদেশ চল্লিশ কোটি ডলার বা বাংলাদেশী টাকা আয় করবে। তবে কিভাবে আয় হবে, কোন খাত থেকে কিভাবে সেই দুই হাজার কোটি আসবে সেটার স্পষ্ঠ কোন ব্যাখ্যা তিনি কখনো দেননি।
তখন মজার একটি ঘটনা ঘটেছিলো। শেখ হাসিনা একটি সমাবেশে যখন বলেছিলেন ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশ দুই হাজার কোটি টাকা আয় করবে তখন ‘জনকণ্ঠ পত্রিকা’ একটি লীড নিউজ করেছিলো ট্রানজিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ চারশো কোটি ডলার বা দুই হাজার কোটি টাকা আয় করবে !
খুশীতে গদগদ ‘জনকণ্ঠ’ পত্রিকা হিসেব কষে দেখেনি চারশো কোটি ডলার সমান দুই হাজার কোটি হয়না। তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
জনকণ্ঠ পত্রিকা তখন চারশো মিলিয়ন ডলারের হিসেবকে চারশো কোটি ডলার বানোর মূল কারণ ছিলো মিথ্যাচার এবং অসত্যকে বাজারজাত করার একটি নগ্ন প্রয়াস। কিছু মিডিয়া সরকার কিংবা সরকারের ধারে কাছের কতিপয় লোকদের দালালী করে বলে আমাদের সমাজে একটি সরব প্রচারণা রয়েছে। জনকণ্ঠের সেই চারকে চারশো বানানো এবং তিলকে তালবানানো তখনকার একটি অপ্রয়াসই ছিলো !
জনকণ্ঠ পত্রিকার সেই চারশো মিলিয়ন ডলারকে চার চারশো কোটি ডলার বানোর আষাড়ের গল্পের পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ তার দলের সুপ্রীম অথোরিটি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসত্য-বানোয়াট বক্তব্য ‘ভারতকে ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশের দুই হাজার কোটি টাকার লাভ হবে’ তথ্যকে জায়েজ করতে আরেকটু চমৎকার মিথ্যাচার শুরু করেছিলেন। বলা যায় নাটকীয় কায়দায় তোফায়েল সেই অসত্য-বানোয়াট তথ্যকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্ঠা আরেকটু নগ্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে ছিলেন ! তখন তোফায়েল দুই জায়গায় দুটি চরম মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। এর এক জায়গায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংব, আইএমএফ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা নাকি বলেছিলো, ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের আয় হবে বছরে দুই হাজার কোটি টাকা ?
তোফায়েল কিংবা তার সহকর্মীদের বক্তব্য যে শুধু মিথ্যাচারই নয়, চরম অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর সেটা আর বলার অবকাশ রাখে না। ‘আইএমএফ’, ‘বিশ্বব্যাংক’ কি করে এমন আগাম হিসেব কষে রেখেছিলো যে, ভারতকে যদি ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের দুই হাজার কোটি টাকার বার্ষিক আয় বেড়ে যাবে ? কি করে ঐ সংস্থাগুলো রীতিমত আগাম বুঝে ফেলেছিলো যে, বাংলাদেশ সরকার ভারতকে ট্রানজিট দিতে আগ্রহী এবং তাই খেয়ে না খেয়ে তারা বিশাল হিসেবটা বাংলাদেশের জন্য করে রেখেছিলো ?
ঐ তোফায়েলই আরেক জায়গায় তার বক্তব্যে বলেছিলেন ভারতকে যদি বাংলাদেশ ট্রানজিট প্রদান করে তবে বাংলাদেশ প্রতিদিন দশ লক্ষ টাকা করে মাসে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আয় করবে।
অংকের হিসেব অনুযায়ী বার্ষিক সে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ছয়ত্রিশ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করা যে আওয়ামীলীগের গোপন চুক্তি এবং এটা জনগণের কাছে ভাল প্রমাণের জন্য তাদের একটা নোংরা অপচেষ্ঠা রয়েছে সেটাই প্রমাণ করেছিলো শেখ হাসিনা ও তোফায়েলের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থেকে।
কিভাবে আওয়ামীলীগ মিথ্যাচার করে, সেটা নিয়ে ছোট্ট একটি উদাহরণ তুলে ধরছি- তারা শুধু মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে শুধু বিভ্রান্তই করে না, দেশের স্বার্থকে বিনষ্ট করতে হেন কোন কাজ নেই যা তারা করতে দ্বিধাবোধ করে। আওয়ামীলীগ যে কথিত সবই পারে এর একটি উদাহরণ হলো নিম্নের মিথ্যাচারের উদাহরণ।
১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পূর্বে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী পদধারী ব্যক্তিত্ব মহি উদ্দিন খান আলমগীর (ম. খা. আলমগীর) রিপোর্টার জাহিদুজ্জামান ফারুকের নেয়া ঐ সাক্ষাৎকারটি ছিলো ট্রানজিটের উপর। প্রাণবন্ত ঐ সাক্ষাৎকারে প্রখ্যাত (!) ডক্টর ম. খা. আলমগীর ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করলে বাংলাদেশের লাভ কি হবে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে শুরু করেন চরম সব অসত্য ও মিথ্যা তথ্য প্রদান।
অবাক লেগেছিলো সেদিন কি করে ম. খা. আলমগীর ডক্টরেক্ট ডিগ্রী পেলো ? এটাও কি তার নেত্রী শেখ হাসিনার মতো ক্রয়ের ডক্টরেক্ট ছিলো, নাকি সত্যিই খাল খননের উপর পাওয়া ডক্টরেক্ট ?
বাংলাদেশের বার্ষিক রাজস্ব আয় (সরকারী দেয়া হিসেব অনুযায়ী) ২০ হাজার কোটি টাকারও কম। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকে ১৩ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা। ঐ দিনের সাক্ষাৎকারে মহি উদ্দিন খান আলমগীর (প্রতিমন্ত্রী) হিসেব দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যদি ভারতকে ট্রানজিট প্রদান করে তবে এ থেকে টু পয়েন্ট ফাইভ বিলিয়ন ডলার বা পঁচিশ হাজার কোটি ডলার আয় করতে পারবে ! ম. খা.  সেদিন বাংলাদেশের বিদেশী সহায়তা প্রাপ্তির হিসেব দিতে গিয়ে বলেছিলেন, বিদেশ থেকে বাংলাদেশের সহায়তা প্রাপ্তি হলো ওয়ান পয়েন্ট আট বিলিয়ন ডলার ?
তাহলে ফলাফল কি হলো ? শেখ হাসিনার দেয়া দুই হাজার কোটি টাকা এবং মহি উদ্দিন খান আলমগীরের ২৫ হাজার কোটি টাকার হিসেব তেইশ হাজার কোটি টাকার ব্যবধান হয়ে গেলো ! ম. খা. সেদিন তথ্য দিয়েছিলেন, ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে সেটার হিসেব তিনি আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের দেয়া বক্তব্য থেকে জেনেছেন এবং এটাই তাদের হিসেব। ম. খা’র অংকে টু পয়েন্ট ৫ বিলিয়ন ডলার মানে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
মজার তথ্য হলো অংকে মহা কাঁচা ঐ ম. খা আলমগীরই ছিলেন শেখ হাসিনার যত ডিগ্রী পেয়েছিলেন ডক্টরেক্ট সহ সবগুলোর করিৎকর্মা মিডিয়েটর। প্রধানমন্ত্রী মরহুম স্বামী ডক্টর ওয়োজেদ মিয়া এমন তথ্যই দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার সবচেয়ে বিশ্বস্থ সাবেক আমলা ও মন্ত্রী ম. খা. আলমগীর তার  ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির লোক। পাকিস্তান সরকারের আমলের আনুগত্যশীল ম. খা. আলমগীরই একমাত্র সরকারী কর্মকর্তা যে কিনা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে জনতার মঞ্চের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের উপহার হিসেব শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী, ‘মন্ত্রী’র পদ। শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও তার হাত রয়েছে।
সুবিধাভোগী ম. খা. আলমগীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে উলসী-যদুনাথপুর আদর্শ গ্রাম প্রকল্প যখন রাষ্ট্রপতি জিয়া পরিদর্শনে যান তখন নিজে রাষ্ট্রপতির গাভী ড্রাইভ করে প্রকল্প ঘুরে দেখিয়েছেন। বেগম জিয়ার আমলে জনতার মঞ্চ করে প্রসানের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে জাতির বারটা বানিয়েছেন। শেখ হাসিনার ডক্টরেক্ট ডিগ্রী অর্জনেও তার হাত রয়েছে এটাও ব্যাপক আলোচিত। সর্বশেষ রানা প্লাজার খুঁটি ধরে কতিপয় বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর হাত রয়েছে বলে দুনিয়া ব্যাপী ‘বকওয়াস্’ মন্ত্রী খ্যাত ম. খা’রা যে জাতির সাথে কেমন মিথ্যাচার করে সেটা বলার জন্য কি কোন আলাদা মঞ্চ লাগবে ?
বরং ম. খা’র মত দুনাম্বারীদের কারণে বাংলাদেশ সেই হেনরী কিসিঞ্জারের ভাষায় তলাবিহীন ঝুড়ি হতেই চলেছে।
সম্পাদক (নির্বাহী)
দি সানরাইজ টুডে ডট কম

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button