ইসরাইলের পক্ষে ইউরোপ-আমেরিকার যোদ্ধা !

Israelপ্রায় পাঁচ হাজার ইহুদি এখন ‘একাকী সৈন্য’ এই পরিচয় বহন করছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যে স্বেচ্ছাসেবীরা এসেছে, তাদের পরিচিতি এটা। মেয়েটির নাম ক্যাটি। এসেছে নেদারল্যান্ডস থেকে। নিজের দেশে থাকার বদলে ইসরাইলের নৌবাহিনীতে কাজ করতে চলে এসেছে স্বেচ্ছায়।
এখন, তার মতো শত শত ডাচ তরুণ ও তরুণী ইসরাইলি সামরিক বাহিনীতে কাজ করছে; কিন্তু নেদারল্যান্ডস সরকার কি ওদের ‘জিহাদ স্ট্রিডার্স’ (জেহাদি যোদ্ধা) বলে অভিহিত করবে? বিদেশী অনেকে সিরিয়ায় লড়তে গেছে। ওদের কিন্তু এ নামেই অভিহিত করা হচ্ছে। ক্যাটি নেদারল্যান্ডস ও ইসরাইল দুই দেশেরই নাগরিক। অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সে কিন্তু একজন ‘জিহাদি’-র মতোই।
এ দিকে, গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা সপ্তাহের পর সপ্তাহ চলছেই। নিহতের সংখ্যা ২২ জুলাই বিকেল পর্যন্ত ছয় শ’রও বেশি। হাজার হাজার মানুষ আহত ও গৃহহারা। এর পাশাপাশি নির্বিচারে গ্রেফতার, বসতবাটি ধ্বংস এবং বর্ণবিদ্বেষী আচরণ চলছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি। পশ্চিম তীর ও ইসরাইল রাষ্ট্রের ভেতর দুই জায়গাতেই হচ্ছে এসব। তদুপরি, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে রিক্রুট করে আনা বিদেশীরা এসব যুদ্ধাপরাধে সরাসরি মদদ যোগাচ্ছে। সারা বছরই ওরা এসে নামছে বেন গুরিয়ান এয়ারপোর্টে।
ইউরোপিয়ান আর মার্কিনিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কাজ করা নতুন কোনো ব্যাপার নয়।
ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম দেয়ার আগে ইহুদিবাদী আন্দোলনে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী রিক্রুট করা হয়েছিল পাশ্চাত্য থেকে। এই প্রক্রিয়ার নাম ছিল ‘মাহাল’ বা বিদেশ থেকে স্বেচ্ছাকর্মী আনা। ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের আমলে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী সামরিক অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য এদের আনা হয়েছিল।
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের চার হাজার এমন যোদ্ধা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, যারা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খ্যাতিমান সৈনিক। গোলন্দাজ, নৌবাহিনী ও আকাশযোদ্ধাদের তৎপরতাসহ যুদ্ধের বিভিন্ন দিকে তাদের যে দক্ষতা ছিল, তা দিয়ে ইহুদিবাদী প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা স্বেচ্ছাসেবা দিয়েছে।
যুদ্ধের চেয়েও বড় ভূমিকা
ইহুদিবাদী তৎপরতায় পাশ্চাত্যের সমর্থনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে, শুধু এসব বিদেশী যোদ্ধার সংখ্যাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ও জনসংখ্যা বিন্যাসগত রূপান্তরের ক্ষেত্রেও বিদেশী রিক্রুটদের ছিল ভূমিকা।
ইসরাইলের পরলোকগত প্রধানমন্ত্রী ইত্ঝাক র‌্যাবিন যুদ্ধে নিজেদের সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন বিদেশী যোদ্ধাদেরকে। তার ভাষায়Ñ ‘যখন আমরা তাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি অনুভব করেছি, ১৯৪৮ সালে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই কঠিন ও অনিশ্চিত দিনগুলোতে তারা আমাদের কাছে এসেছিল।’
ইসরাইলের সামরিক শক্তি বাড়ানোর সময়ে এসব বিদেশী স্বেচ্ছা সৈনিক ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে আরবদের নির্মূল করার অভিযানে মেতে উঠেছিল। ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে সহায়-সম্পদহারা বানাতে ওরা ভূমিকা রেখেছে। এমনকি চালিয়েছে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা। এসব কিছুই তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছিল।
ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টি করার সাথে সাথে বিদেশী ইহুদি যোদ্ধা সংগ্রহ শেষ হয়ে যায়নি। আজো তা রয়েছে অব্যাহত।
৪০টিরও বেশি দেশ থেকে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর সব ক’টি শাখায় কাজ করার জন্য স্রোতের মতো আসছে। বিদেশী রিক্রুটের ঘোষিত লক্ষ্য, ইসরাইলকে ‘রক্ষা করা’ এবং ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সাথে ওদের সম্পর্ক জোরদার করে তোলা।’ ইসরাইলের নাগরিক না হলেও ইহুদিরা ১৮ মাস ইসরাইলি সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করতে পারে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের যারা বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক দায়িত্ব পালন করছে, তাদের মতো এই বিদেশীরাও যুদ্ধক্ষেত্রে একেবারে সামনের সারিতে লড়াই করতে পারে।
‘সাপোর্ট গ্রুপ’গুলো
ব্রিটেনের প্রায় এক শ’ নাগরিক এখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে রয়েছে। এটা তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার। ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে একজন সন্তান থাকার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ব্রিটিশ মায়েদের ‘সাপোর্ট গ্রুপ’ রয়েছে।
২০০৯ সালে হাউজ অব লর্ডসে রদারহামের ব্যারন আহমদ জানতে চেয়েছিলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে নিয়মিত কিংবা রিজার্ভ সৈন্য হিসেবে তখন কোনো ব্রিটিশ নাগরিক কাজ করছিল কি না।
পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দফতরের তদানীন্তন প্রতিমন্ত্রী লর্ড ম্যালোচ-ব্রাউন জবাবে বললেন, ‘মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেলে ভিন্ন কথা, তবে ইসরাইল সরকার তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করার জন্য কাদের ডেকেছে, সে সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার কোনো তথ্য রাখে না। এদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। কেবল ইসরাইল সরকারের কাছেই ওই সব ব্রিটিশ নাগরিক সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। … জেনেভা কনভেনশনের চতুর্থ প্রটোকল যে কেউ ভঙ্গ করুক না কেন, কোনো-না-কোনো আদালতে সে ব্যক্তি ন্যায়বিচারের মোকাবেলা করা প্রয়োজন।’
ব্রিটিশ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা দফতরগুলোর তৎপরতার নমুনা এতটুকুই।
গত এপ্রিল মাসে ব্রিটেনের একটি পার্লামেন্টারি রিপোর্ট ২৪৬ পৃষ্ঠাজুড়ে তুলে ধরেছিল সিরিয়া, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানে যুদ্ধরত ব্রিটিশ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপগুলো। অথচ, ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করে এবং ওদের চিন্তাধারায় দীক্ষিত হয়ে যেসব ব্রিটিশ নাগরিক স্বদেশে ফিরেছে, তাদের ব্যাপারে এতে বিন্দুমাত্র উল্লেখও নেই অথবা এটা বলা হয়নি যে, একটি দখলদার সেনাবাহিনীতে কাজ করা এমন একটি অপরাধ, যা ব্রিটেনের ‘ফরেন এনলিস্টমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৭০’-এর লঙ্ঘন। এই আইনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ নাগরিকেরা অন্য কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করা অপরাধ।
রিক্রুটমেন্ট
সারা দুনিয়া থেকেই ইসরাইল তার সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন রিক্রুট করে থাকে। এমন দু’জন হচ্ছে ম্যাক্স সেটইনবার্গ এবং সিন কার্মোলি। এই দু’জন মার্কিন নাগরিক ইসরাইলের সৈন্য হিসেবে গাজায় ইহুদিদের স্থল হামলায় অংশ নিয়েছে। এতে অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। গত ২০ জুলাই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট যুদ্ধে ওই দুই ব্যক্তির নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য রিক্রুটমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।
গত মে মাসে প্যারিসে ইসরাইলি দূতাবাস স্থানীয় ইহুদি সম্প্রদায়কে জানায়, ‘ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর একজন প্রতিনিধি এসেছেন। তিনি তাদের রিক্রুটমেন্টের নীতিমালার ওপর বক্তব্য রাখবেন।’
গাজা এখন আক্রান্ত
২০১৩ সালের নভেম্বরে ইউক্রেনের একজন মহিলা নাগরিক ইউক্রেনের একটি টিভি শোতে অনুতাপের লেশমাত্র ছাড়াই বলেছিল, সে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করেছে। এ জন্য ইউরোপ ও ইউক্রেনের আইন তাকে দায়মুক্তি দিয়েছে। কারণ, ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করা হলে সে ক্ষেত্রে ইসরাইলি আইন কার্যকর হয় না। এই নারী ছয় বছর ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কাজ করে এসেছে।
হাজার পাঁচেক ইহুদি বিভিন্ন দেশ থেকে এসে সৈন্য হয়ে ইসরাইলের সেবা করেছে স্বেচ্ছায়। ‘একাকী সৈন্য’ হিসেবে অভিহিত এসব বিদেশী বা নবাগত অভিবাসী ইসরাইলে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ভোগ করে আসছে। তারা আর্থিক সাহায্য পায়। আবাসন সুবিধাও দেয়া হয় তাদের। বিদেশে গিয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার অবকাশও মেলে বৈকি।
তেল আবিবে এদের জন্য ‘লোন সোলজার সেন্টার’ চালু হয়েছে এবার মে মাসে। এখানে তারা অবসর কাটাতে, বিনোদন পেতে পারে। এ জন্য নেদারল্যান্ডসের এনজিও ‘ইসরাইল অ্যাক্টি’ অর্থ জুগিয়েছে। ‘সার-এল’-এর আমস্টারডাম শাখার সাথে এটি সংশ্লিষ্ট। সার-এল হচ্ছে বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবীদের গ্রুপ, যারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে থাকে। ১৬ বছর বয়স হলেই ইহুদি-অইহুদি, ইসরাইল কিংবা অন্য দেশের নাগরিক, সবাই স্বেচ্ছায় অর্থ, সময় ও শ্রম দিয়ে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পারে। তখন তাদের পরনে থাকে ইসরাইলি সেনাদের পোশাক। ৩০টির বেশি দেশে ‘সার-এল’ তৎপর এবং প্রতি বছর শত শত স্বেচ্ছাসেনা এতে যোগ দিচ্ছে।
অনেক ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে সারা পৃথিবী থেকে তরুণ ইহুদিদের রিক্রুট করছে ইসরাইল। এ ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। ‘ইসরাইল এক্সপেরিয়েন্স’ হচ্ছে একটি ইহুদিবাদী প্রকল্প। ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্য নতুন নতুন মিত্র তৈরি করাই এর উদ্দেশ্য। পশ্চিমা দেশগুলোতে ১৩ বছর বয়স হলেই এ জন্য কিশোরদের টার্গেট করা হয়। প্রথমে এমন ধারণা দেয়া হয় যে, নিছক কৌতুক ও বিনোদনের একটি কর্মসূচির জন্য ওদের রিক্রুট করা হচ্ছে। অথচ শেষ পর্যন্ত তাদের এক থেকে ছয় সপ্তাহের শিক্ষা দেয়া হয় যুদ্ধ, ইহুদিবাদ ও ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে। অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক কলাকৌশলের ব্যাপারে জ্ঞান দেয়া হয় তাদের। এসব কিছুর পাশাপাশি বিনোদনের সুযোগও থাকে।
মগজধোলাই হলে এই সন্তানদের ফেরত দেয়া হয় নিজ পরিবার ও দেশে। তখন থেকে ওরা ওকালতি করতে থাকে ইসরাইলের দখলদারি, বর্ণবাদী নীতি এবং যেকোনো মূল্যে দেশটির প্রতিরক্ষার পক্ষে। ইসরাইলের এই রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমের নানা ধরন। তবে লক্ষ্য একটিই। তা হলো, ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে আরো শক্তি জোগানো এবং রাষ্ট্রটির নির্বোধ সমর্থকদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা।
যুদ্ধাপরাধে সম্পৃক্ততা
ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষমতার খেলা মানেই ক্রমাগত দ্বিমুখী আচরণ। পাশ্চাত্যের যে নাগরিকেরা ইসরাইলি সৈন্যদের পোশাক পরিধান, ফিলিস্তিনের ভূমি ও সম্পদ জবরদখল এবং যুদ্ধাপরাধের সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, তাদের ব্যাপারে ওই সব দেশের গোয়েন্দা দফতর চোখ বুজে থাকে।
এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের দৃষ্টিতেÑ কোনো ভূখণ্ডের অবৈধ ও বেআইনি দখলদারির পক্ষে যুক্তি হিসেবে, ইহুদি হওয়াই যথেষ্ট। অপর দিকে, ইসরাইলি বসতির বেআইনি সম্প্রসারণ এবং ভূমি ও পানিসম্পদ চুরি প্রতিরোধ করে ফিলিস্তিনি জনগণ যেন অন্যায় করছে। গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরাইলি সৈন্যরা মানুষের জীবনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই দেখায়নি। নির্বিচারে বেসামরিক লোকজন এবং তাদের বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে ইসরাইল সশস্ত্র সঙ্ঘাতের আইনকানুন ভঙ্গ করেছে।
ইসরাইলি দখলদারির ধরন অনেক। এর কিছু সুপরিচিত, কিছু গোপন। ইউরোপ-আমেরিকার সৈন্য এনে ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে পরোক্ষভাবে শক্তিশালী করে তোলা এই অন্যায়ের একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া।
অন্য দেশের যোদ্ধারা তাদের সীমান্ত অতিক্রম করা এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও বিশেষ আক্রোশ নিয়ে ওদের স্বদেশে ফিরে যাওয়া প্রতিরোধ করাকে ইউরোপীয় নেতারা গুরুত্ব দিলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সঙ্ঘাতে জড়িত ইউরোপের সব যোদ্ধার ব্যাপারে সমান দৃষ্টি দিতে হবে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইউরোপীয় সরকারগুলোর নৈতিক দায়দায়িত্ব রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত ঘাতকদের ইউরোপ থেকে আসার স্রোত বন্ধ করা ওই সরকারগুলোর কর্তব্য।
গাজাকে ইসরাইল তার হাই-টেক অস্ত্রশিল্প ও রাসায়নিক পদার্থের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ল্যাবরেটরি বানিয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সামরিক বিধিনিষেধ কার্যকর করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাধ্য।
লেখিকা : কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষক; ফিলিস্তিনে ইসরাইলি নির্যাতনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব-প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে গবেষণারত।
মূল: হানিনে হাসান, ভাষান্তর : মীযানুল করীম

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button