জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়া

Jamat২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এই ইফতার মহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমরা অগণতান্ত্রিক কিছু চাই না, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি দেশকে ভালবাসেন আসুন এক সঙ্গে কাজ করি।
ঈদের পর নতুন কর্মসূচি দিয়ে এ জালিম সরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ জীবন যাপন করছে। রমজানেও মানুষ শান্তিতে রোজা রাখতে পারছে না।
তিনি বলেন, জালিম সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুম, খুন, হত্যা-রাহাজানি থেমে নেই। দেশ এখন মহাসঙ্কটে। জনগণ এ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই দল-মত নির্বিশেষে যারা দেশের এতো বড় সর্বনাশ করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ আমাদের পক্ষে রয়েছে। সেটা তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ দেখিয়েছে বলেন্দাবি করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই তা তারা বোঝে না। র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে মানুষ খুন করে টিকে থাকা যায় না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, র‌্যাব এখন মানুষের নিরাপত্তা দেয়া ছেড়ে খুন, গুম ও সন্ত্রাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে র‌্যাবকে বাতিল করতে হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আজকে যাদের সামনের সারিতে বসার কথা ছিল অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার তাদের অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। গুম, খুন অপহরণে নিত্য অভ্যস্ত তারা। শুধু জামায়াত বা ২০ দলীয় জোটের নেতারাই নয়; আবাল-বৃদ্ধ কেউই এ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এমকে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, আ স ম হান্নান শাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মোর্শেদ খান, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
শরিক দলের নেতাদের মধ্যে এ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন- এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনপিপি সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, ইসলামিক পাটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান, এনডিপির গোলাম মর্তুজা, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, হেফাজত ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, সাদেক খান, জাবির অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, আলমগীর মহিউদ্দিন, রুহুল আমিন গাজী, ডিইউজে সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, এম আব্দুল্লাহ, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, অধ্যক্ষ জায়নুল আবেদীন, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button