আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বিভক্ত করেছে : আবদুর রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও শক্তিকে নিয়ে যখন বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন করা অপরিহার্য ছিল তখন আওয়ামী লীগ তা না করে একক দলীয় সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বিভক্ত করে ফেলে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে রব আরো বলেন, আওয়ামী লেিগর দ্বারা এ বিভক্তি থেকে জাতিকে রক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের উপযোগী রাষ্ট্র-ব্যবস্থাপনা ও সংবিধান প্রণয়নের জন্য জেএসডি গঠন ছিল একান্ত অপরিহার্য এবং মুক্তিযুদ্ধের রূপকার হিসেবে সিরাজুল আলম খানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব। অথচ এ উদ্যোগকেও সঠিকভাবে গ্রহন করতে না পেরে তদানিন্তন সরকার লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনী সৃষ্টি করে জাসদ/জেএসডি’র ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করে। এর পরও যখন জেএসডি’র অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারছিলনা তখন সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
রব বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যারা জানে না তারাই জাসদ তথা জেএসডি, সিরাজুল আলম খান ও গণ বাহিনী সম্পর্কে বিকৃত মন্তব্য করেন। ভারতে প্রশিনপ্রাপ্ত বিএলএফ সদস্যদের তালিকা দেশে নিয়ে আশার একটি বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বক্তব্যের মধ্যে জাসদ তথা জেএসডি’র জন্ম, কার্যক্রম ও সিরাজুল আলম খানের ভূমিকা টেনে আনা শেখ হাসিনাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে হলেও ইতিহাসের বিচারে তা অগ্রহনযোগ্য।
সম্প্রতি সংসদে দেয়া কয়েকজন সংসদ সদস্যের দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যায় পাটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন এক বিবৃতিতে বলেন জেএসডি/জাসদের উদ্যোগে নয়, জনগণের মধ্য থেকেই প্রতিরোধ সংগ্রামের অংশ হিসেবে গণ বাহিনী গড়ে উঠে। ৭২ এ একক দলীয় সরকার, ৭৫ এ বাকশাল গঠন ও সারাদেশে আওয়ামী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা, খুন, হাইজ্যাক, লুটপাট, বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এই সুযোগে আওয়ামী লীগেরই একটি বিরাট অংশ খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে সরকার গঠন করে। ওই নিষ্ঠুর উদ্যোগের সাথে প্রত্য বা পরোভাবে যারা জড়িত ছিলেন তারাই মূল হত্যাকারীদের আড়াল করার জন্য অপ্রাসঙ্গিকভাবে জাসদ/জেএসডি’র নাম টেনে আনে। কিন্তু এর দ্বারা তারা কোনোভাবেই নিজেদেরকে আড়াল করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button